বিপদসীমা অতিক্রম করেছে তিস্তার পানি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

এনএনবি বাংলা.কম

নীলফামারী : নীলফামারী জেলার তিস্তা নদীর পানি অতিক্রম করেছে বিপদসীমা। শেষ চব্বিশ ঘন্টায় পানি বৃদ্ধিতে অসংখ্য বাড়িঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

শনিবার (২৭ জুন) সকালে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৫ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুপুর ১২ টা নাগাদ উজানের ঢল বৃদ্ধি পাওয়ায় ৭ সে.মি পানি বেড়ে বিপদসীমার ২০ সে.মি ওপরে গিয়ে দাঁড়ায়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান- পরিস্থিতি সামাল দিতে চব্বিশ ঘন্টা খোলা রাখা আছে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ জলকপাট। ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাসের (ফ্লাড ফিউজ) কাছে ঢলের পানি এখনও ৪ ফিড নিচে থাকায় লাল সংকেত জারি করার পরিস্থিতি হয়নি।

তবে তিস্তাপাড়ের মানুষজনকে হলুদ সংকেতের মাধ্যমে নিরাপদে আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়। ভারী বর্ষণে উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে সৃষ্ট বন্যায় বন্যা কবলিত হয়েছে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানি, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি এবং জলঢাকা উপজেলার গোলমুণ্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের প্রায় ১৫ টি চরের বাসিন্দা।

এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ৫ হাজার পরিবারের ২০ হাজার মানুষ। বেহাল অবস্থায় পড়েছে আরও ছাতুনামা ও ভেণ্ডাবাড়ি এলাকা। সাতশো পরিবারে প্রবেশ করেছে নদীর পানি। এমনসব তথ্য জানিয়েছেন ঝুনাগাছ চাঁপানী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান।

তিনি এও বলেন- ১২ টি পরিবারের বসতঘর ইতোমধ্যে নদীর পানিতে বিলিন হয়ে পড়েছে। পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানিয়েছেন, ঝাড়শিঙ্গেশ্বর গ্রামটি প্লাবিত। খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউল ইসলা লিথন জানান, কিছামত ছাতনাই গ্রামের বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে তিনশো পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *