ঈশ্বরগঞ্জে জ্বালানি তেল-গ্যাস সিলিন্ডার গোডাউনে আগুন [ভিডিও]

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
এনএনবি বাংলা.কম
অগ্নিকান্ডের ঘটনায় স্থানীয়দের সাথে কথা বলছেন ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক প্রাণনাথ সাথা। ছবি – এনএনবি বাংলা

 

ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জে জ্বালানি তেল-গ্যাস সিলিন্ডারের একটি গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে।
সোমবার (২৪ আগস্ট) দিনগত রাতে উপজেলার আঠারোবাড়ি বাজারে মঞ্জুরুল হোক নামের এক ব্যক্তির গোডাউনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে গোডাউনের জ্বালানি সব তেলসহ গ্যাস সিলিন্ডার আগুনে পুড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা দাবি করেন কামাল মিয়া নামে একজনের শরীরে আগুন লেগেছে। তাকে আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল এবং কেন্দুয়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে একযোগে কাজ করেন। রাতেই ছুটে আসেন ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক প্রাণনাথ সাহা।
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর নির্মল সরকার এনএনবি বাংলার এক প্রশ্নের জবাবে জানান- গোডাউনটি অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলো কি-না সে বিষয়ে তিনি পরিদর্শন করে বলতে পারবেন। তার আগে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারবেন না।
এদিকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রাণনাথ সাহা এনএনবি বাংলাকে জানান- তদন্তের পর বলা যাবে কি থেকে বা কিভাবে হয়েছিলো আগুনের সূত্রপাত। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাদের দক্ষতা দেখিয়ে দ্রুততার সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন। নয়তো আরও দ্বিগুণ হতো আগুনের ভয়াবহতা। এতে আশেপাশের মানুষ হতে পারতো চরম ক্ষতিগ্রস্ত আর ঘটতে পারতো প্রাণহানী।
অগ্নিকাণ্ডে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক জানাতে না পারলেও এই কর্মকর্তা জানান- গোডাউনে জ্বালানি তেলের ৬৫ টি ড্রামের পাশাপাশি ছিলো আরও ৬০ টি গ্যাস সিলিন্ডার। অগ্নিকাণ্ডের আগে সংশ্লিষ্টরা গাড়ি থেকে ড্রামের মধ্যে জ্বালানি তেল মজুদ আর এরই সাথে গুছিয়ে রাখছিলো সবগুলো গ্যাস সিলিন্ডার। ঠিক সেই মুহূর্তেই ঘটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড।
গোডাউনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বা ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স নিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান- লাইসেন্স গ্রহণ করেছিলো কি-না সে বিষয়টি দেখে নিশ্চিত হয়ে বলতে হবে। তবে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গোডাউনটিতে কোনো প্রকার এক্সটিংগুইসার চোখে পড়েনি। গোডাউন মালিকের উপস্থিতি না থাকা, চেষ্টা করেও তার মুখোমুখি বা মুঠোফোনে সংযুক্ত হতে না পারায় তার সাথে কথা বলতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস সংশ্লিষ্টরা। জানান ফায়ার সার্ভিসের এই সহকারী পরিচালক।
বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন। কিন্তু তিনি মোবাইল ফোন রিসিভড না করায় অগ্নিকাণ্ডের বিষয় নিয়ে তার কাছ থেকে কিছু জানা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *