অনলাইন ডেস্ক
এনএনবি বাংলা.কম
ঢাকা : জনপ্রিয় অভিনেতা ও আবৃত্তিকার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসকরা। প্রয়োজনে যেকোনো সময় দেয়া হতে পারে ভেন্টিলেশন।
চিকিৎসায় রোববার সাড়া দিলেও উদ্বেগ কাটেনি বলেই মন্তব্য করছেন চিকিৎসক দল। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে চিকিৎসকরা হয়ে আছেন উদ্বিগ্ন। জ্বরসহ রয়েছে এখনও শারীরিক অন্যান্য সমস্যা।
এদিকে বেলভিউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, শিল্পীর মানসিক সামান্য অস্থিরতা ও উদ্বেগ পরিলক্ষিত হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, জ্বর তো আছেই বুকেও রয়েছে সংক্রমণ। সেক্ষেত্রে দেওয়া হতে পারে ভেন্টিলেশন।
সৌমিত্রকে শনিবার রাতে দু’ইউনিট ও রোববার দেওয়া হয়েছিলো এক ইউনিট প্লাজমা। দিতে হচ্ছে উচ্চ মাত্রায় অক্সিজেন (মিনিটে ১৫ লিটার)। সেই সাথে উচ্চ পিএসএ কাউন্ট, ডায়াবিটিস-সহ নানা আনুষঙ্গিক রোগ এবং ‘কোভিড এনকেলোপ্যাথি’ (মস্তিষ্কে কোভিড সংক্রমণের প্রভাব) চিকিৎসকদের চিন্তায় ডুবিয়ে রেখেছে এখন।
প্রস্রাবে ই-কোলাই, দেহে সোডিয়াম বৃদ্ধি এবং জলের ঘাটতি। রোববার দিনগত রাত পর্যন্ত শিল্পী অস্থির এবং অসংলগ্ন অবস্থায় রয়েছেন। কোভিড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও ডাক্তাররা জরিপ করছেন, স্নায়বিক পরিস্থিতি, হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং পারিপার্শ্বিক সংক্রমণ মোকাবিলা।
রোববার দিনে শিল্পীর অবস্থা কিছুটা ভাল থাকলেও সন্ধ্যার পরে খারাপ হয়। হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট ১০ জন ছাড়াও ৬ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন। তাদের মন্তব্যে শিল্পীর বয়স এবং নানা আনুষঙ্গিক রোগ চিন্তায় রেখেছে। তবে সর্বতোভাবে লড়াই চলছে।
মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত হয়ে বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি হন সৌমিত্র। শুক্রবার হয়ে যায় শারীরিক অবস্থার অবনতি। তখন তাঁকে আইটিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়।
চিকিৎসকদের মতে, শিল্পীর সেরে ওঠার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কো-মর্বিডিটি এবং তাঁর ৮৬ বছর বয়স। ক্যানসার জয় করলেও তাঁর শারীরিক নানান ধরণের জটিলতা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনার বন্ধ ছিলো টলিপাড়ার কাজ। কিছুদিন অতিবাহিত হলে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ফের শুরু হয় শ্যুটিং। সৌমিত্রকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি হচ্ছিল। সেই তথ্যচিত্রের কাজ করছিলেন তিনি। তখনই করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হন।