ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
এনএনবি বাংলা.কম
নেত্রকোনা : ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে এতো আন্দোলন সংগ্রামের পরও কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না যেন ঘৃণিত এ অপরাধ! দেশের চলমান উত্তাল এ পরিস্থিতিতেও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে নারী-শিশু!
এবার ধারে ওষুধের টাকা আনতে গিয়ে দলবেঁধে করা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। দাদাকে হাসপাতাল বেডে রেখে তার ওষুধের টাকা সংগ্রহে বের হয়ে সর্বনাশের মুখে পড়েন তিনি।
এমনই দাবি করছেন, নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার অসহায় এক তরুণী। তার বক্তব্য মতে, শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) দিনগত রাতে তিনি হাসপাতাল ফটকের বাইরে বের হন। দাদার ওষুধের জন্য পরিচিত যুবক লালনের কাছে কিছু টাকা ধার চান। লালন টাকা ধার দিবে বলে তাকে নূর নবী নামের এক যুবকের বাসায় যেতে বলেন। নবীর সাথে গেলেই বাসা থেকে টাকা দিয়ে দিবে বলে লালন।
আর সেই কথানুযায়ী তরুণী নবীর সাথে বাসায় যান। এর কিছুক্ষণ পর লালনও সেই বাসায় হাজির হন। পরে এই দুই যুবক মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ তুলেন তরুণী। সেই অনুযায়ী রাতেই পূর্বধলা থানায় তিনি হাজির হন। অভিযোগ করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে দুজনকেই আটক করে পুলিশ।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোরশেদা খাতুন তরুণীর বরাত দিয়ে এনএনবি বাংলাকে এসব অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বিষয়গুলো খুবই সেনসেটিভ। সেক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এরইমধ্যে তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আকবর আলী মুনসী এনএনবি বাংলাকে জানান, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক যুবকদের আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা পেলে কেউ রেহাই পাবে না। এই সমাজ রাষ্ট্র বা নিজেকে টিকিয়ে রাখতে বাজে দৃষ্টিভঙ্গি মানসিকতা পাল্টাতে প্রত্যেকের কাছে জোর দাবি রাখেন জেলা পুলিশ প্রধান আকবর আলী মুনসী।
তিনি বলেন, ধর্ষণ বা নারী নির্যাতনের মতো অপরাধ করে অন্যের ক্ষতি তো অবশ্যই না বরং নিজের জীবনকেও কেউ ধ্বংস করবেন না। ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড।