বাংলাদেশ বিশ্বের নম্বর ‘ওয়ান’ : জাপানি নাগরিক শুনশুকে-মায়ের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
এনএনবিবাংলা.কম
ঢাকা : বাঙালি এবং বাংলার প্রেমে পড়ে যাওয়া জাপানি নাগরিক শুনশুকে মিজোতোনে ও মায়ের ওয়াতানবে বাংলাদেশকে বিশ্বের নম্বর ওয়ান দেশ বলে মন্তব্য করেছেন।
কর্মের সূত্র ধরে বাংলাদেশে আসা এই দুই নাগরিক বাংলার ইতিহাস নাগরিকদের মানবতাবোধ দেখে তখনই এ দেশের প্রেমে পড়েন তারা।
দ্য ইয়ং ফেলো নামে ইউটিউব চ্যানেলে এ দুই জাপানির সাক্ষাতকারে বাংলাদেশ নিয়ে তারা নিজেদের অনুভূতি আর ভালোবাসার এসব কথা অকপটে তোলে ধরেন।
তারা জানান, বেসরকারি একটি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) কাজ নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন তারা। তখন থেকেই দেশের ইতিহাস জেনে আর মানুষদের ভালোলাগায় দেশ ও মানুষের প্রতি দুর্বলতা সৃষ্টি হয়। তারপর একই দেশে এক যুগেরও বেশি সময় বসবাস।
মায়ের জানান, শুধু বাংলাভাষা না, এ দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতির প্রেমে পড়েছেন তিনি। এ দেশের মানুষ দেশকে ভালোবাসে, নিজেদের ভাষাকে ভালোবাসে। পৃথিবীতে অনেক দেশে যাওয়া হয়েছে সেক্ষেত্রে বলা যায় বাংলাদেশ নম্বর ‘ওয়ান’। এ দেশের মানুষ নিজেদের ভাষাকে প্রচন্ডরকম ভালোবাসে। বাঙালি বিশ্বে নম্বর ‘ওয়ান’। ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে বাঙালি!
শুনশুকে জানান, ২০০৭ সালে বাংলাদেশে প্রথম আসেন তিনি। শুরুর দিকে ভয় পেয়ে বাংলাদেশে এলেও পরে ইতিবৃত্ত জানার পর প্রেমে পড়ে যান। জাপান একটা উন্নত দেশ মন্তব্য করে জাপানি এই নাগরিক আরও জানান, জাপানে একটা জিনিস হারিয়ে যাওয়ার মতো মানবতা। তবে বাংলাদেশের ভিতরে তা বিদ্যমান দেখে খুব ভালো লেগেছে তার। ভালো সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বাংলাদেশে থেকে যাওয়ার ইচ্ছা হয়।
শুনশুকে ও মায়ের জাপানি এই নাগরিকরা বাংলা গানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষে মানুষের ভালোবাসার কথা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যাশার কথা তোলে ধরে জানান, মানুষে মানুষে যে সম্পর্ক, ভালোবাসা সেটিকে তারা গানের মাধ্যমে, এনিমেশনের মাধ্যমে বার্তা আকারে ছড়িয়ে দিতে চায়।
বাংলাভাষা শিখতে গিয়ে বাঙালিদের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতার কথা স্বীকার করে
মায়ের জানান, প্রথম দিকে যখন গ্রামে যাওয়া হতো তখন বাংলা বুঝতাম না। কিন্তু বাংলা শেখার আগ্রহ প্রকাশ করলে আশেপাশের মানুষ বাংলা ভাষা শেখাতেন। তবে বাংলাভাষা শেখা কঠিন ছিল না দাবি করে মায়ের জানান, আজও বাংলা ভাষা শেখা হয় প্রতিদিন।
বাংলাভাষাকে বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে গড়েছেন ‘বাজনা বিটথ নামের একটি ব্র্যান্ড। বাংলাদেশের ‘বথ আর জাপানের ‘জথ দিয়ে এ নামকরণ করা হয়। চলতি বছর জাপানে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকে বাংলাদেশি অ্যাথলেটদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তারা গেয়েছেন গান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *