ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
এনএনবি বাংলা.কম
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় বলৎকারসহ বিভিন্ন অপরাধে চৌদ্দ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
গত চব্বিশ ঘন্টায় উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকদের মধ্যে বলৎকারের অভিযোগে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক ছাড়াও রয়েছে জুয়াড়ি ও গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়ন ধরে রেখে উপজেলাবাসীকে স্বস্তি দিতে কাজ করে যাচ্ছে গৌরীপুর থানা পুলিশ। এনএনবি বাংলায় শনিবার (২৮ নভেম্বর) দিনগত রাতে এমনই মন্তব্য করেছেন থানার অফিসার ইন-চার্জ মো. বোরহান উদ্দিন খান।
তিনি জানান, জনসাধারণকে সার্বিক নিরাপত্তাসহ অপরাধমুক্ত গৌরীপুর উপহার দিতে চেষ্টার কোনো ধরণের ত্রুটি নেই। তবে জনসাধারণকেও সচেতন হতে হবে, করতে হবে পুলিশকে সহযোগিতা আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রত্যেককে হতে হবে আপোষহীন। তবেই অপরাধ মুক্ত হবে সমাজ আর সার্থক হবে পুলিশের এই পরিশ্রম।
অফিসার ইন-চার্জ বোরহান উদ্দিন আরো জানান- গত চব্বিশ ঘন্টায় পুলিশি অভিযানে আটক হলেন- ছাত্রদেরক বলৎকারে অভিযুক্ত সহনাটি ইউনিয়নের পাছার মানিকরাজ করফুলনেছা নুরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. বাকি বিল্লাহ মানিক।
অপরদিকে মইলাকান্দা ইউনিয়ন ও মাওহা ইউনিয়ন তথা পৃথক জুয়ার আসর থেকে আটক হয়েছেন বার জন জুয়ারি। তারা হলেন- মো. আব্দুস সাত্তার, মো. সুরুজ আলী, মো. মুন্নাফ, মোতালেব, রফিক মিয়া, মতিউর রহমান, বাবুল মিয়া, মো. রুবেল মিয়া, মো. আলী ওসমান, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. ইয়াকুব আলীর ও শ্রী সুবল।
এছাড়াও গ্রেফতার হয়েছে- গৌরীপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাটশিরা গ্রামের ওয়ারেন্টের আসামি আব্বাস আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ।
থানার অফিসার ইন-চার্জ বোরহান উদ্দিন বলেন, যেকোনো সমস্যায় পুলিশ জনগণের পাশে ছিলো, আছে এবং আগামী দিনগুলোতেও থাকবে। শুরু হয়েছে করোনার সেকেন্ড ওয়েব প্রত্যেক নাগরিকদের স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে চলাফেরা করতে হবে বলেও যোগ করেন তিনি।