ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
এনএনবি বাংলা.কম
সুনামগঞ্জ : রাতের বেলায় অস্ত্র হাতে হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ঢুকে যায় এক সন্ত্রাসী। পরে পুরো ওয়ার্ডের চারপাশ ঘুরে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এক আয়াকে খুঁজতে থাকে সে।
বিষয়টি ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা নার্সের দৃষ্টি এলে রুগীদের অনুরোধে তিনি সন্ত্রাসীর দিকে এগিয়ে যান এবং কথা বলে আয়াকে খোঁজার বিষয়টি জানতে পারেন। সন্ত্রাসীর খুঁজে বেড়ানো আয়া ওয়ার্ডটিতে নেই বলে জানান নার্স। আর এতে বাঁধে বিপত্তি।
ক্ষিপ্ত হয়ে যান অস্ত্রধারী আর তাৎক্ষণিক নার্সের গলায় ঠেকিয়ে দেন তার হাতে থাকা ছোড়া সদৃশ্য ধারালো অস্ত্রটি। একপর্যায় লোকজন এগুতে থাকলে নার্সের হাতে সজোরে আঘাত করে ওয়ার্ড থেকে দ্রুত সটকে যায় ওই অস্ত্রধারী। তবে কেউ তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি।
এটি শুক্রবার( ৪ ডিসেম্বর) রাত ১১ টার দিকে সুনামগঞ্জ জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের ঘটনা।
পরিস্থিতির শিকার আহত নার্স হলেন হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শ্রাবণী কুচ। তিনি এনএনবি বাংলাকে জানান, একে তো রাত। তাও মহিলা ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডেই অস্ত্র হাতে ঢুকে পড়েছিলো অস্ত্র হাতে থাকা সন্ত্রাসী।
তাও তাকে কিছুই বলা হয়নি বরং কাকে খুঁজাখুঁজি করছে জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে সে পারভীন আয়ার কথা বললে তাকে জানানো হয় এখানে পারভীন নেই।
এরমধ্যে অশ্লীল গালমন্দ আর হুমকিধামকি শুরু করে গলায় ধারালো অস্ত্রটি ঠেকিয়ে দেয় সে! ভয়ে চিৎকার করলে কর্তব্যরত অন্যাস্য নার্সরা এসে জমায়েত হয়। কিন্তু ততক্ষণে পালিয়ে যায় অস্ত্রধারী।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রফিকুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অস্ত্রধারীকে শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ। আইনগত ব্যবস্থা নিতে যা করার প্রয়োজন এখন তাই করা হবে।