১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি মাত্র স্প্যান সংযুক্ত করে দিয়েছে ৬ হাজার ১৫০ মিটারের পুরো পদ্মাসেতু।জাতিকে পৌঁছে দিয়েছে অপেক্ষার শুভক্ষণে। ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো হয়। এর ছয়দিন আগে বসানো হয়েছিলো ৪০ তম স্প্যান।
চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি পদ্মাসেতুর কাজ করায় স্প্যানের দুই পাশে তুলে ধরেছর বাংলাদেশ ও চীনের জাতীয় পতাকা। সেখানে বড় অংশজুড়ে উল্লেখ করা হয়েছে দুদেশের সুসর্ম্পকের এবং শ্রমিকদের শ্রমে-ঘামের কীর্তিগাঁথা।
একসময় এই পদ্মাসেতু পাড়ি দিতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে ফেরি পারের অপেক্ষায় ঘাটে আটকে থেকে দিন-রাত চলে যেতো। এমনকি পারাপারের অপেক্ষায় থেকে শেষপর্যন্ত ঘাটেই মারা যেতো অসুস্থ অনেক রোগী।
সেই দুঃখ দুর্দশার দিন এবার শেষ। সবদিক থেকে এগিয়ে যাবার এবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলার অসংখ্য মানুষ।
দ্রুত গতিতে কাজ করে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা গত ২ মাসে সেতুতে ৮ টি স্প্যান বসিয়ে গড়েছেন রেকর্ড। এ মাসেও শেষ তথা ৪১ তম স্প্যানসহ বসিয়েছে ২ টি স্প্যান।
২০১৪ সালে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বসানো হয় প্রথম স্প্যান এবং চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বর, বসানো হয় সর্বশেষ অর্থাৎ ৪১ তম স্প্যান।
প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, শুরুতে মাটির গঠনগত বৈচিত্র্য ও গভীরতার ভারসাম্যের তারতম্যের কারণে পিলারের নকশা করতে তৈরি করতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। দ্বিতীয় বাধা পড়ে করোনা মহামারি। তবুও থেমে না থেকে ধীর গতিতে হলেও এগিয়ে নেয়া হয় নির্মাণ কাজ।
সবগুলো স্প্যান বসে যাওয়ায় পদ্মা পাড় বা সংশ্লিষ্ট জেলাসহ পুরো দেশের মানুষ ভাসছে আজ আনন্দের বন্যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করছেন উল্লাস। যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাস্তবতার মুখ দেখেছে এ স্বপ্ন, সেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে প্রত্যেকে জানাচ্ছেন শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।