স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
এনএনবি বাংলা.কম

ঢাকা : সবগুলো স্প্যান বসে গেলেও পদ্মাসেতু চালু হতে আরো একবছরেরও বেশি সময় লাগবে। এক মতবিনিময় সভায় এমনই তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
নিজে আট বছর সেতু বিভাগের সচিব থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি এখনও দেখাশোনা করে থাকি। ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে চালু হবে পদ্মা সেতু।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজ’ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ আয়োজিত সভায় তিনি বিশেষ অতিথি ছিলেন। আর এসময় নিজের বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রসঙ্গক্রমে এমন তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম ১৯৯৮ সালে পদ্মাসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় ফিরে ফের পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন। কাজ বাস্তবায়নে বিশ্ব ব্যাংক নিয়ে এসেছিলো ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ সহায়তার প্রস্তাব।
বিভিন্ন কারণে দেশের সম্মান বজায় আর মঙ্গলার্থে বিশ্ব ব্যাংককে ‘না’ বলে দেয় বাংলাদেশ সরকার। শেষপর্যন্ত নকশা নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মাসেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে কাজ শুরু করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর, মূল সেতুর নির্মাণ ও নদীশাসন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। দু’বছর তথা ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয় সেতুর প্রথম স্প্যান।
সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। সরকার আশা করছে মোংলা বন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সাথে রাজধানী এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগ থাকলে বেড়ে যাবে এক দশমিক দুই শতাংশ দেশজ উৎপাদন এবং প্রতি বছর শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ হারে কমবে দারিদ্র্য।