ঢাকা : জনপ্রতিনিধি হলেও অসামাজিক কাজকর্মই ছিলো তার বেশি পছন্দ। টার্গেট ছিলো অন্য নারীদের সম্ভ্রম বেচে রাতারাতি নিজের জন্য টাকার পাহাড় গড়ে তুলবেন তিনি।
কিন্তু দেহব্যবসায় এক পার্লারকর্মীর অনিচ্ছা আর র্যাবের অভিযানে ভেস্তে গেল তার দীর্ঘদিনের সব প্লান। অবশেষে তার হাতে টাকার বান্ডিলের পরিবর্তে পড়েছে আইনের হাতকড়া।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় ঘটনাটি নিশ্চয় কারো অজানা নয়। তবে অজানা যদি কারো হয়েই থাকে সেক্ষেত্রে তারাও এনএনবি বাংলা থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড) নারী কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজী। কৌশলে জিম্মি করে আটকে রাখেন বিউটি পার্লারের কিশোরী এক কর্মী। দেহব্যবসা করতে বাধ্য করেন তিনি।
মামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব সদস্যরা।
গ্রেফতারের বিষয়টি এনএনবি বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১) পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি জানান, কাউন্সিলর ও আরো কয়েকজনের নামে গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) বাসন থানায় মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মামলা করেন কিশোরী এক পার্লারকর্মী।
মামলার সূত্র মতে, কাউন্সিলর রোকসানা আহমেদ রোজী ও বাড়ির কেয়ার টেকার নুরুল হকসহ আজ্ঞাত আরো দুই-তিনজন তাকে দিয়ে জোরপূর্বক দেহব্যবসা করাতেন। কিশোরী উপায়ন্তর না দেখে পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে পুলিশের সাহায্য তথা মামলা করতে বাধ্য হন।
মামলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোজী’র বাড়ির কেয়ারটেকার নুরুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিষয়টি আগেভাগে বুঝতে পেরে আত্মগোপন করেন রোজী। অপরদিকে রোজী’র মালিকানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার আনন্দ বিউটি পার্লার থেকে মঙ্গলবারই কিশোরীকে উদ্ধার করে বাসন থানা পুলিশ।