ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
এনএনবি বাংলা.কম
নেত্রকোনা : কংস নদীর পানিতে ভেসে আসা অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধারের পর নেত্রকোনা জেলা পুলিশকে রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে।
মরদেহটি উদ্ধারের স্থান থেকে প্রায় হাফ কিলোমিটার দূরে একই নদীর পাড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছড়ানো ছিটানো পড়েছিলো নারীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র।
পাওয়া গিয়েছে সেখানে, বিভিন্নস্থানের নতুন নতুন সব শপিং ব্যাগ, মাথার ছেড়া কালার করা চুলসহ রক্তমাখা বিছানার চাদর, বালিশ, ব্লাউজ, থ্রি-পিস নারীদের ব্যবহৃত নানারকম পোশাকআশাক। এছাড়াও পড়েছিলো শিশুদের সাদা রঙের একটি সেন্টু গেঞ্জিসহ কসমেটিকস সামগ্রী, ইমিটেশনের কানের দুল ও আঙুলের আংটি।
আনুমানিক পয়ত্রিশ বছর বয়সী অজ্ঞাত এ নারীর মরদেহ উদ্ধারের সময় তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোরশেদা খাতুন।
তিনি বলেন, অর্ধগলিত মরদেহটি জেলা সদরের মৌগাতি ইউনিয়নের মুক্তিরবাজার সংলগ্ন চন্দ্রকোণা ও নিশ্চিন্তপুরের সীমান্তবর্তী স্থান কংস নদী থেকে বুধবার (০৩ মার্চ) দুপুর ১ টার দিকে উদ্ধার করা হয়।
মরদেহ থেকে আনুমানিক হাফ কিলোমিটার দূরে একই নদীর বাঁক ধরে এগোলে পরিত্যক্ত অবস্থায় পূর্ব ডহর বালুর ঘাটের নদীর তীরে পাওয়া গেছে জব্দ করা ওইসব জিনিসপত্র। এরপরই মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ মো. তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আকবর আলী মুনসী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনার রহস্য উদঘাটনে সংশ্লিষ্ট ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় তথা মাঠপর্যায়ে রাত পর্যন্ত অবস্থান করছেন মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান। এসআই মো. নাজমুল হুদার নেতৃত্ব কাজ করছেন, এসআই মো. আমিনুল ইসলাম, আব্দুস সালাম মঞ্জুকে নিয়ে গঠিত একটি চৌকস টিম।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আকবর আলী মুনসী জানান, ঘটনাটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রহস্য উন্মোচনে জেলা পুলিশ অফিসের কর্মকর্তাসহ মডেল থানার প্রত্যেক সদস্য মাঠে কাজ করছেন। এছাড়াও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে নেত্রকোনা পিবিআই, সিআইডি সদস্যরা। দ্রুত সময়ে যেভাবে রহস্য উন্মোচন হয় সেই পথে হাঁটছে পুলিশ।