বৃদ্ধা মাকে পিটিয়ে পা ভেঙে দিলো ২ ছেলে!

ছেলেদের পিটুনিতে ভাঙা পা নিয়ে হাসপাতাল বিছানায় বৃদ্ধা মজিদা | ছবি- এনএনবি বাংলা

পলাশ সাহা : নিজেদের নামে বসতবাড়ি লিখে নেয়ার জন্য বৃদ্ধা সৎমা’র সাথে তুমুল ঝগড়ায় মাতেন মঞ্জুর মিয়া ও হাকিম মিয়া।

ঝগড়ার একপর্যায় লোভের আগুনে অন্ধ হয়ে বৃদ্ধা মাকে ঘরের বারান্দায় বেধে ফেলেন ওই ছেলেরা। পরে পিটিয়ে বামপা ভেঙে দেয়া হয়।

নেত্রকোনার সুসং দুর্গাপুর উপজেলার দশাল গ্রামে ঘটেছে বর্বরোচিত এই ঘটনা। ঘটিয়েছে দিনমজুর সাহেব আলী’র দু’ছেলে।

আহতাবস্থায় এনএনবি বাংলায় রোববার (২১মার্চ) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করে ছেলেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন বৃদ্ধা মজিদা।

তিনি জানান, শনিবার (২০ মার্চ) মাগরিব আজানের সময় নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন দুই ছেলে বসতবাড়ি নিজেদের নামে লিখে নেয়ার জন্য চাপ দিয়ে শুরু করে ঝগড়া।

একপর্যায় তারা রীতিমতো চোর-ডাকাতের মতো শুরু করে মারধর! বারান্দার খুঁটির সাথে বেধে ফেলা হয় এবং সেখানেই পিটিয়ে বাম পা-টি ভেঙে দেয় তারা!

বাঁচার জন্য প্রাণ ভিক্ষা চেয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন বৃদ্ধা। শুনতে পেয়ে আশপাশ থেকে এসে তাকে উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা। ওই অবস্থাতেই দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইন-চার্জ মো. শাহ্ নূর এ আলম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এনএনবি বাংলাকে এসব ঘটনার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে থানায় মামলা নেয়া হয়েছে। মামলাটি করেছেন অভিযুক্তদের ভাই ফজলু মিয়া।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দুর্গাপুর সার্কেল) মাহমুদা শারমিন নেলী এনএনবি বাংলাকে জানান, বিষয়টি নিয়ে অবগত হয়ে থানা পুলিশকে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়।

ঘটনাটি নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় অপরাধ মন্তব্য করে থানা পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা আরো জানান, মামলার হলেই তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত ছেলে হাকিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পলাতক অপর অভিযুক্ত ছেলেকেও দ্রুত সময়ে গ্রেফতার করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *