নিউজ ডেস্ক
এনএনবি বাংলা.কম
ঢাকা : গ্রন্থটির নাম ‘সুন্দরবনের বাঁকে বাঁকে’।একবার পড়লেই একজন সচেতন পাঠকের বুঝার বাকি থাকবে না কতদূর হেঁটে ঘাম ঝরিয়ে শিরোনাম করেছেন লেখক।
আর এমন শিরোনামে একবার চোখ পড়লে ভ্রমণ পিপাসুরাদেরও কোনোভাবেই ছুটে যাবার চান্স নেই। কেন না, যাদের প্রবল ইচ্ছে আছে বাট সময় সুযোগ হয়ে উঠে না তারা জাকারিয়া মন্ডল’র ভ্রমণ বিষয়ক গ্রন্থটির মুগ্ধ পাঠের মাধ্যমে করে আসতে পারেন ভ্রমণ।
২০২১ এর বইমেলায় ৩৬৪, ৩৬৫ ও ৩৬৬ নাম্বার স্টলে অঙ্কুর প্রকাশনী পাঠকদের জন্য নিয়েছে এসেছে জাকারিয়া মন্ডল’র চতুর্থ ভ্রমণ গ্রন্থ ‘সুন্দরবনের বাঁকে বাঁকে’। নামানুসারে বইটির অসারণ প্রচ্ছদ করেছেন মোস্ততাফিজ কারিগর। পাঠক ও প্রকাশকের মতে প্রাসঙ্গিক রঙিন আলোকচিত্র গ্রন্থটিকে করেছে আরো সমৃদ্ধ।
চতুর্থ এ গ্রন্থের আগে প্রকাশ হওয়া তিনটি গ্রন্থের নাম ‘পাহাড়ের ভাঁজে মহাকাব্য, ‘বাড়ির পাশে তীর্থ’ ও ‘নদী অঞ্চলের ইতিবৃত্ত’।
বইটির ফ্ল্যাপে বলা হয়েছে, সুন্দরবনে সরেজমিন। বিভিন্ন সময়ে। বিভিন্ন ঋতুতে। চেনা-অচেনা নদী থেকে নদী, বিপদসঙ্কুল খাল থেকে খালে ভাসা। সৈকত মাড়িয়ে বুনো ট্রেইলে ঢুকে পড়া গভীর বনে। পরিবেশ, প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়া। বুঝে নেওয়া বন ও বুনোদের মতিগতি। কখনো বানরের সঙ্গে বাঁদরামি, কখনো হরিণের সঙ্গে সখ্য। কখনোবা কুমিরের পিছু ধাওয়া, বাঘের ভয়ে পিছু হটা।
দুবলার চরে জেলে জীবনের রোমাঞ্চকর গল্প। রাশ উৎসবের অজানা কাহিনী। কমলে কামিনী দেবির আখ্যান। জোয়ার-ভাটার গান। সুন্দরী বনের অদ্ভূত সব লোকজ সংস্কৃতির অনুসন্ধান। মানুষেরই দেবী ও দেবতা হয়ে ওঠার গল্প। বনবিবির বট, মন্দিরের খোঁজ। গাজী-কালু উপাখ্যান। চম্পাবতীর সমাধি। বাঘদেবতা দক্ষিণ রায়ের গল্প। মানিক পীরের দরগা।
বাদা বনের আহত পরিবার, বাঘ বিধবাদের করুণ কাহিনী। হারিয়ে হাওয়া বসতি ও সমৃদ্ধ সভ্যতার সুলুক সন্ধান। চাপা পড়ে থাকা ইতিহাসের ধুলো ঝেড়ে গৌরবময় ঐতিহ্যের আখ্যান যোগ। সুন্দরবন সম্পর্কিত সবকিছুরই সুচারু সমন্বয় ঘটানো হয়েছে গ্রন্থটিতে। চোখে দেখা বিষয়ের সঙ্গে বিভিন্ন আকর গ্রন্থের প্রাসঙ্গিক রেফারেন্সে গ্রন্থটি সমৃদ্ধ। তবে ভ্রমণ গল্পের আদলে হওয়ায় কঠিন বিষয়কেও সহজ মনে হয়। পাঠ এগিয়ে চলে সাবলীলভাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) এবং শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগে স্নাতকোত্তর করেছেন। নিউজ মিডিয়া, গবেষণা ও তথ্যচিত্র তার কর্মক্ষেত্র। পেশাগত দায়িত্ব ছাড়াও প্রায়ই পরিব্রাজক বেশে পথে নামেন জাকারিয়া মন্ডল।