যাত্রী আছে বাসের দেখা নেই!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
এনএনবি বাংলা.কম

বাসের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ অপেক্ষা | ছবি- এনএনবি বাংলা

ময়মনসিংহ : নতুন করে যখন ছড়িয়ে পড়লো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস, তখন সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।

পরিস্থিতি সামাল দিতে সপ্তাহের জন্য লকডাউনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। আর এরপর থেকেই মার্কেট ও যাত্রী পরিবহনের প্রতিটি মাধ্যমে লক্ষ্য করা যাচ্ছে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

সারা দেশের ন্যায় ময়মনসিংহ শহরের বাসটার্মিনালগুলোতেও একই চিত্র। দেখা গিয়েছে ঘরমুখো মানুষের চরম ভোগান্তি। কারণ, ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট সংগ্রহের পরও মিলছে না বাসের দেখা!

ময়মনসিংহ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এবং ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে আসা নগরীর মাসকান্দা এনা পরিবহনের কাউন্টারেও একই দৃশ্য। টিকেট সংগ্রহের দীর্ঘ লাইন আর ঘন্টার পর ঘন্টা বাসের অপেক্ষা।

টিকেট সংগ্রহে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন আফসানা বেগম। ঢাকায় যাবেন তিনি। কিন্তু দুই ঘন্টারও বেশি সময় ধরে টিকেট সংগ্রহ করতেই লাইনে দাঁড়িয়ে করতে হচ্ছে অপেক্ষা। তিনি জানান, বাসও তো নেই। টিকেট সংগ্রহ করার পর বাসের জন্য ফের সেই অপেক্ষা।

আফসানা শুধু নন তার মতো এমন শতাধিক নারী-পুরুষ একই পরিস্থিতির শিকার। কেউ করছেন টিকেটের জন্য আবার কেউ করছেন বাসের জন্য অপেক্ষা। সবার উদ্দেশ্য একটাই লকডাউনে কোথাও আটকে পড়তে চান না। সেজন্য যে করেই হোক দ্বিগুণ ভাড়া আর অপেক্ষাকে উপেক্ষা করে গন্তব্যে পৌঁছানোর প্রতিযোগিতা।

টিকেট সংগ্রহ করতে গিয়েও লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ অপেক্ষা | ছবি- এনএনবি বাংলা

এনা বাস কাউন্টার সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা মেনে দুই সিটে একজন করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আগে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা ২২০ টাকা ভাড়া নিলেও এখন নেয়া হচ্ছে ৩৫০ টাকা। সবসময় ৪০ টি বাস চলাচল করলেও এখন করছে মাত্র ২০ টি।প্রয়োজনের তুলনায় বাসের সংখ্যা কম।

তবে যতটুকু সম্ভব যাত্রীদের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি নেই সংশ্লিষ্টদের। এমনই মত প্রকাশ করেন টিকেট বিক্রেতারা।

এদিকে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা রুটে চলাচলকারী যাত্রী পরিবহনগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থবিধি। যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করেও পূর্বের ন্যায় নেয়া হচ্ছে যাত্রী। বিশেষত সিএনজি চালিত অটোরিকশায় পিছনে দুজন এবং সামনে চালকের সাথে একজন নেয়ার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। কিন্তু ভাড়া ৮০ টাকার পরিবর্তনে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ১৫০ টাকা!

প্রসঙ্গত, মহামারী এই করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর রোববার (০৪ এপ্রিল) লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। পরে সোমবার থেকে তা হবে কার্যকর। এবারের লকডাউনে সীমিত করা হবে জনসাধারণের চলাচল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *