ইরি-বোরো বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

ফসলের মাঠে সবুজের হাতছানি | ছবি- এনএনবি বাংলা

মো. মিজানুর রহমান : কৃষিনির্ভর উত্তরের জেলা নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলা। এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় দুলছে কৃষকের মন ।

দৃষ্টিসীমা ছাপিয়ে মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহে বৈশাখের পূবালী বাতাসে সোনালী ধানের শীষ হাওয়ায় দুলছে। আর এ দোলায় লুকিয়ে আছে কৃষক পরিবারের রঙ্গিন স্বপ্ন। ধানের গাছগুলো সবুজের আভা কেটে হলুদ বরণ ধারণ করতে শুরু করছে।

উপজেলার কৃষকরা বলছেন, ধানের চারা রোপণ থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে রয়েছে। এ কারণে ধানক্ষেতে রোগ-বালাই ছিল কম, ধান কাটা পর্যন্ত এমন আবহাওয়া থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

উপজেলার রাজিব গ্রামের মোবারক হোসেন, গাড়াগ্রামের জোনাব আলী, নিতাই ইউনিয়নের ছালামসহ আরো অনেকে জানান, ধানের চারা রোপণের পর থেকে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে রয়েছে। সেচে কোনো রকম বিঘ্ন ঘটেনি। মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ না করায় ক্ষেতে মাজরা পোকা সহ অন্যান্য রোগের প্রকোপ ছিল কম।

পচনও নেক ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ নেই বললেই চলে। এ জন্য জমিতে দফায় দফায় কীটনাশক প্রযোগ করতে হয়নি। কৃষকরা আরও বলেন, উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আগাম রোপণকৃত ধান ১০/১২দিনের মধ্যে কাটা মাড়াই শুরু হবে। ইতোমধ্যে অনেক কৃষক নদীর জলিতে রোপন কৃত ধান স্বল্পপরিসরে কাটামাড়াই শুরু করেছেন।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে ১১ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষক পর্যায় হাইব্রিড জাতের ধানের বীজ প্রদান করায় গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ বেশি হয়েছে।

চারা রোপনের শুরু থেকে মাঠ পর্যায়ে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তারা কৃষক পর্যায়ে নানা ধরণের পরামর্শ দিয়ে আসতেছেন। কৃষকের ঘরে ধান তোলা পর্যন্ত। এ সেবা অব্যাহত থাকবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ না হলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *