কর্মস্থলে তিনি ছিলেন ‘আলোর দ্যুতি’

প্রাণনাথ সাহা

সৌমিন খেলন : আর আট-দশটি পেশার চেয়ে নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং এবং অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো তার পেশা। কিন্তু তাই বলে নিজের দায়িত্বে কখনো অবহেলা করেননি তিনি।

বরং দ্রুত সময়ে ঘটনা-দুর্ঘটনার স্থানে ছুটে যাওয়াই ছিলো তার একমাত্র লক্ষ্য। মানুষকে সেবা দেয়া ও জীবন বাঁচানো ছিলো তার নেশা। কর্মসূত্রে দেশের একাধিক জেলায় সুনামের সাথে পালন করেছেন নিজের দায়িত্ব।

ভালো ব্যবহার ও কাজের বিনিময়ে মানুষের মন জয় করে ‘আলোর দ্যুতি’ তকমা পাওয়া মানুষটির নাম প্রাণনাথ সাহা। কর্মজীবনের দীর্ঘপথ পরিক্রমার পর সম্প্রতি তিনি অবসর নিয়েছেন।

দীর্ঘ ৫৯ বছরের কর্মজীবনে তিনি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে ১৯৮৯ সালে চাকরিতে স্টেশন অফিসার হিসেবে যোগদান করেন।

ট্রেনিং চুকিয়ে এর পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯০ সালের ১৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে পোস্টিং নিয়ে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন চারবছর।

পরে ঢাকা সদরদপ্তরে টানা ১১ বছর। ২০০৫ সালে বদলি হয়ে স্টেশন অফিসার হিসেবেই চলে যান কিশোরগঞ্জ। সেখানে ১ বছর দায়িত্বপালনের পর ২০০৬ সালে পদন্নোতিতে ইন্সপেক্টর হন সদাহাস্যজ্বল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের এই কর্মকর্তা।

আবারো বদলি সূত্রে কিশোরগঞ্জ থেকে ২০০৮ সালে কর্মস্থল হয় ঢাকার লালবাগ। ২০০৯ সালে উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) হিসেবে পদন্নোতি। তবে এরইমধ্যে সহকারী পরিচালকের দায়িত্বে টাঙ্গাইল।২০১০ সালে ডিএডি হিসেবে পোস্টিং ফের কিশোরগঞ্জ। চারবছর অতিবাহিত হলে সেখান থেকে ২০১৫ সালে জেলা শহর নেত্রকোনা।

২০১৭ জুলাই, জামালপুর। ২০১৯ সালে ভাগ্যে মিলে আবারো পদন্নোতি। আর তখন তিনি সহকারী পরিচালক এবং কর্মস্থল জেলা কুমিল্লা। তারপর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে জামালপুর। একই বছরের জুলাইয়ে ময়মনসিংহ যোগদান করে ২০২১ সালের বুধবার (০৫ মে) অবসরপ্রাপ্ত হন।

বিদায় সংবর্ধনা

ময়মনসিংহের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক পদ থেকে যথাযোগ্য মর্যাদায় তাকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এতে ময়মনসিংহ বিভাগের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন, কিশোরগঞ্জ জেলার উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোবারক আলী ও ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *