ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
এনএনবি বাংলা.কম
বগুড়া : বাবা অসুস্থ থাকায় স্কুলছাত্র হয়েও জীবিকার্জনের জন্য ইজিবাইক নিয়ে বের হয়েছিলেন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির হোসেন।
তবে বের হলেও প্রাণ নিয়ে ঘরে আর ফেরা হয়নি তার। যাত্রীদের নিয়ে ইজিবাইকে একটি গ্রামে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে।
নিখোঁজের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সাব্বির’র বাবা গোলাম রব্বানী। পরে একটি গ্রামের ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধাবস্থায় উদ্ধার হয় সাব্বির’র মরদেহ।
ঘটনাটি বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার ঘটনা। সাব্বির জামগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের আষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা পেশায় ইজিবাইক চালক। বাবা’র দাবি ইজিবাইকসহ ছেলেকে অপহরণ করা হয়। আর মুক্তিপণ না পেয়ে নির্মমভাবে তাকে করা হয়েছে হত্যা।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার খরনা ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের পাশের একটি ডোবা থেকে সাব্বির’র মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফয়সাল মাহমুদ জানান, ধারণা হচ্ছে ছিনতাইকারী চক্র চালককে খুন করে তার ইজিবাইক নিয়ে গেছে। বিভিন্ন ইস্যু ধরে রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
এরআগে মঙ্গলবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাব্বির ইজিবাইক নিয়ে জামগ্রাম বাজারে গিয়ে সে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় পরদিন অর্থাৎ বুধবার (২৭ জুন) কাহালু থানায় একটি নিখোঁজ জিডি হয়।
এদিকে নিখোঁজের রাত থেকেই গোলাম রব্বানীর কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কে বা কারা সাব্বির’র মুক্তির জন্য দাবি করেন তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ। ২ লাখ টাকা হলেও ছেলেকে জীবিত পাওয়া সম্ভব বলে জানান, মোবাইল কল করা ব্যক্তি।
কিন্তু বৃহস্পতিবার শাজাহানপুর উপজেলার বীরগ্রাম-ডেসমা সড়কে জগন্নাথপুর গ্রামের পাশের মাঠে হাত-পা বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় সাব্বির’র মরদেহ। এরপরও মোবাইলে ফোন করে সাব্বির’র বাবা গোলাম রব্বানী’র কাছে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।