স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
এনএনবি বাংলা.কম
নারায়ণগঞ্জ : অগ্নিকাণ্ডের ১৩ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ১৮ টি ইউনিট নিরবিচ্ছিন্ন চেষ্টা চালিয়েও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি সেজান জুস কারখানার আগুন!
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় কর্ণগোপ এলাকার কারখানাটিতে অগ্নিকাণ্ডের এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ওই দুর্ঘটনায় শুক্রবার (০৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত নারী-পুরুষ পঞ্চাশ জনের মতো আহত এবং তিনজন নিহতের খবর জানা গেছে। আহতরা স্থানীয় ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
অপরদিকে ইউএস বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন’র কাছ থেকে প্রাপ্ত পরিচয়ে জানা গেছে নিহত হয়েছেন, সিলেটের জ্যোতি সরকার’র স্ত্রী মধ্যবয়সী নারী স্বপ্না রানী, গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকার হারুণ মিয়া’র স্ত্রী মিনা আক্তার।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া দিনাজপুরের আনিসুর রহমান’র ছেলে যুবক বয়সী মোরসালিন মিয়া’র মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, প্রায় সাত হাজার শ্রমিক কারখানায় কাজ করেন। সাততলা ভবনের কারখানাটির নিচতলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। অনেকেই এখনো কারখানার ভেতরে আটকা আছেন। বের করতে না পারলে প্রত্যেকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাবেন।
১৮ টি ইউনিটের সর্বাত্মক চেষ্টায় আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল কিন্তু ভোরের দিকে ফের বেড়ে যায় আগুন। এমনই দাবি করেছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন।