নিউজ ডেস্ক
এনএনবি বাংলা.কম
ঢাকা : না ফেরার দেশে চলে গেছেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ব্রিটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিং (৭৬)।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সাইমন ড্রিংয়ের একসময়ের সহকর্মী জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন সায়মন ড্রিংয়ের সাবেক আরেক সহকর্মী সাংবাদিক তুষার আব্দুল্লাহ।
মৃত্যুকালে তিনি পরিবারে রেখে গেছেন স্ত্রী ও দুই সন্তান। জানা যায়, রোমানিয়ার একটি হাসপাতালে শুক্রবার (১৬জুলাই) অস্ত্রোপচারের সময় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সায়মন ড্রিং।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের ভয়াবহতা ও নৃশংসতার শুরু থেকেই প্রতিবেদন যিনি করেছিলেন একমাত্র সেই সাংবাদিক সায়মন ড্রিং। স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ থেকে তাকে দেয়া হয়েছিলো সম্মানসূচক নাগরিকত্ব।
আন্তর্জাতিকভাবে একাধিক পুরস্কার অর্জন করা সাংবাদিক সায়মন ড্রিং রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও বিবিসির হয়ে কাজ করেছেন। বৈদেশিক সংবাদদাতা, টেলিভিশন উপস্থাপক ও তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবেও বেশ পরিচিত ছিলেন তিনি।
স্বাধীনতাযুদ্ধের বন্ধু হিসেবে ২০১২ সালে সাইমন ড্রিংকে সম্মাননা দেয় সরকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মার্চের ৬ তারিখে কম্বোডিয়া থেকে ঢাকায় চলে আসেন। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছিলেন।
সে সময় পাকিস্তানি জান্তা বিদেশি সাংবাদিকদের বাংলাদেশ অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তান ছাড়তে বাধ্য করলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থেকে গেছেন।
২৭ মার্চ সকালে কারফিউয়ের পর ছোট্ট একটি মোটরভ্যানে করে ঘুরে ঘুরে দেখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ইকবাল হল, রাজারবাগ পুলিশ ব্যারাক ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা।
এরপর লেখেন ‘ট্যাংকস ক্র্যাশ রিভোল্ট ইন পাকিস্তান’ শিরোনামের এক প্রতিবেদন। যা গণহত্যার বিস্তারিত ওঠে আসে। আজ নজর কাড়ে বিশ্ববাসীর।
সাইমন ড্রিংয়ের জন্ম ইংল্যান্ডে, ১৯৪৫ সালে। তিনি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন ১৮ বছর বয়স থেকে। দেখেছেন ২২টি যুদ্ধ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব।