সৌমিন খেলন : বিশ্বজুড়ে যখন করোনা ভাইরাসের ভয় আর আতংক। অদৃশ্য এক ভাইরাসের কাছে থমকে গেছে জনজীবন। প্রাণে বাঁচাতে কাজকর্ম ফেলে ঘর নিয়েছে মানুষ।
পাঁচ বছরের দরিদ্র অসহায় শিশু ঐশী রবি দাস। করোনা ভয় তুরিতে উড়িয়ে দিয়ে খোলা আকাশের নিচে ইট ভেঙে চলছে সে! ঐশীর জীবন বাস্তবতা এটাই প্রমাণ করে দারিদ্র্যতার কাছে লক ডাউন বা ‘করোনা’ ভয় আতংক কিছুই না। গরীবের সবচেয়ে বড় ভয় ক্ষুধা।
শিশু ঐশী দুর্গাপুর উপজেলার চক লেঙ্গুরা গ্রামের বাসিন্দা। মানিক-আরতি রবি দাসের মেয়ে সে। মা-বাবাকে সাহায্য করতে আরও অর্ধশতাধিক শ্রমিকের সাথে শিশুটি সুরকি মহলে ইট ভাঙার কাজ করে প্রতিদিন। দুর্গাপুরের নাজিরপুর মোড় থেকে পূর্বদিক ধরে কিছুটা পথ পাড়ি দিলেই কলমাকান্দা সড়ক। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন মো. মোরশেদ মিয়া’র সুরকি মহল।
প্রায় পাঁচ বছর ধরে সেখানে কাজ করছেন ওই দম্পতি। মেয়ে ঐশী আর বার বছর বয়সী ছেলে আশীষকে নিয়ে তাদের সংসারজীবন। অভাবের সংসারে ছেলেকেও কাজ করাচ্ছেন স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে। আর কিছুটা সহযোগিতায় শিশু ঐশীকে সাথে রেখে ইট ভাঙাচ্ছেন।
দিন শেষে ইট ভেঙে স্বামী-স্ত্রী আর শিশু সন্তানকে নিয়ে তিন থেকে ঊর্ধ্বে চারশো টাকা উপার্জন সম্ভব হয় তাদের। যে উপার্জন দিয়ে বেঁচে থাকা দায়। সেক্ষেত্রে কর্মহীন বসে থাকা তো আরও অসম্ভব। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসন থেকেও এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের সহযোগিতা পাননি বলে জানায় দরিদ্র শিশু ঐশীর পরিবার।