সৌমিন খেলন : ঘটনার দিন বুধবার। সময় বেলা ১১ টা। মা টেলিকম নামে নিজের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ছিলেন মোখলেছুর রহমান।
তিনি খুন হবার ঠিক ২ মিনিট আগেও জানতেন না সামান্য কিছু টাকা আর মোবাইলের জন্য কি ঘটতে যাচ্ছে তার জীবনে।
তবে না জানলেও নির্মমতা পিছু ছাড়েনি তার। বরং কেড়ে নিলো তার প্রাণ। নিজ দোকানেই ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে তিনি খুন হন।
অবশ্য ঘটনার অভিযোগ প্রাপ্তির ৩০ ঘন্টার মধ্যে ছিনতাই হওয়া যৎসামান্য টাকা আর অল্প দামের তিনটি মোবাইল এবং হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিসহ ঘাতক ছিনতাইকারী মো. রুবেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর জেলা পুলিশ।
ঘটনাটি গাজীপুরের শ্রীপুর থানার বেড়াইদের চালা (লিচু বাগান) এলাকার নতুন বাজারের ঘটনা। ঘটনার সময় রুবেল দোকানে এসে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে মোখলেছকে গলায় ছুরিকাঘাত করে।
পরে মোখলেছ আত্মরক্ষায় চালায় সে ব্যর্থ চেষ্টা। এরমধ্যে রুবেল একে একে মোখলেছ’র শরীরের বিভিন্ন স্থানে আরো ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। নিয়ে নেন দোকানের ড্রয়ার থেকে নগদ ১ হাজার ১১৭ টাকা এবং বাটন সেটের তিনটি মোবাইল। সবশেষে পালিয়ে যাবার সময় ছিনতাইকারী ঘাতক রুবেলকে আটক করে স্থানীয়রা।
এ ঘটনার দিনই সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মোসা. সুরভী আক্তার। পুলিশ অভিযুক্তকে স্থানীয়দের কাছ থেকে নিজেদের হেফাজতে নেন। পরে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস.এম শফিউল্লাহ্ বিপিএম তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন পিপিএম (বার) এর তদারকিতে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমান ঘটনার তদন্ত করে উন্মোচন করেন হত্যার মূল রহস্য।
ঘাতক ছিনতাইকারী রুবেল মিয়া (৩০) ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার নৈকাঠি লেবুবুনিয়া গ্রামের সামসুল হক’র ছেলে। অপরদিকে নিহত মোখলেছুর রহমান (৩৮) ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার জামিরাপাড়া গ্রামের মো. আফাজ উদ্দিন’র ছেলে।
তবে বর্তমানে তিনি ব্যবসায়ী কারণে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার বেড়াইদের চালা (লিচু বাগান) এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। ঘটনার পর আসামিকে গ্রেফতার করা হলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার এসব ব্যাখা দিয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন এনএনবি বাংলাকে বলেন, আতংক বা ভয়ে অপরাধ চেপে যাওয়া যাবে না। যখন যেখানেই অপরাধ সংগঠিত হোক তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানাতে হবে। চব্বিশ ঘন্টায় নাগরিক সেবা দিতে প্রস্তুত পুলিশ।