প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে ফ্ল্যাটে উঠছে বস্তিবাসীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
এনএনবি বাংলা.কম

প্রধানমন্ত্রীর কল্যানে ফ্ল্যাটে উঠছে বস্তিবাসীরা

ঢাকা : দেশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র রয়েছে অকৃত্রিম আর বুকভরা ভালোবাসা।

বিশেষ করে গরীব-দুঃখীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী’র যে উদারতা তা কেবল তাঁর কর্মযজ্ঞে তাকালেই বুঝে নেয়া সম্ভব।

মুজিব বর্ষে ছিন্নমূল অসহায় মানুষদের বিনামূল্যে দেশব্যাপী দিয়েছেন ভূমিসহ সেমি পাকা ঘর, গুচ্ছগ্রাম। এছাড়াও রাজধানী ঢাকায় বস্তিবাসীদের দিচ্ছেন ফ্ল্যাটে থাকার সুযোগ!

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট) সকালে বস্তিবাসীর জন্য মিরপুরে ভাড়াভিত্তিক ৩০০টি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়।

ওই অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নির্বাচিত ৩ জন উপকারভোগী বস্তিবাসীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে বরাদ্দপত্র তুলে দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

বস্তিবাসীরা মানবেতর জীবনযাপন করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর দেয়া বক্তব্যে বলেন, আমাদের দেশে হরিজন, দলিত শ্রেণি ছিল। তাদের জন্য আমরা ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দিয়েছিলাম; ৯৬ সালে সেটা শুরু করেছিলাম। মাঝে বিএনপি এসে সেগুলো লুটপাট করে খায় এবং নষ্ট করে দেয়। সেই বিল্ডিংগুলো ভেঙে এখন নতুন করে দিচ্ছি।

ইতোমধ্যে কয়েকটা করা হয়েছে। আরও কয়েকটা করব। আজকে ৩০০টা ফ্ল্যাট ৩০০ পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হবে। পর্যায়ক্রমে আমরা এ ব্যবস্থা নেব; তবে তাদের ভাড়া দিয়ে থাকতে হবে।

এর আগে ২০১৭ সালে ঢাকায় বসবাসরত বস্তিবাসীর আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ফ্ল্যাট করে দেওয়ার এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। ওই বছর ২৬ অক্টোবর এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ১৪৮ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে এ প্রকল্পে।

এরই ধারাবাহিকতায় মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনে বস্তিবাসীর জন্য সর্বমোট দশ হাজার ফ্ল্যাট নির্মিত হয়েছে। আজ ৩০০ পরিবারের হাতে বরাদ্দপত্র দেওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে দেওয়া হবে আরও এক হাজার একটি পরিবারকে। ওই বস্তিতে থাকা দশ হাজার পরিবার নতুন ফ্ল্যাটে থাকার সুযোগ পাবেন।

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে মিরপুরের ১১ নম্বর সেকশনের বাউনিয়া বেড়িবাঁধ এলাকায় ছয় বিঘা জমির ওপর ১৪তলার পাঁচটি ভবনে ৫৩৩টি আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রতিটি ফ্ল্যাটে রয়েছে, কমিউনিটি হল, দুটি লিফট ও প্রশস্ত সিঁড়ি। এ ছাড়াও রয়েছে অগ্নিনির্বাপণ ও সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা, ৪০ কেভিএ জেনারেটর ও ২৫০ কেভিএ সাব-স্টেশন সুবিধা।

৬২০ থেকে ৭১৯ বর্গফুট আয়তনের প্রতিটি ফ্ল্যাটে রয়েছে দুটি করে বেডরুম, একটি বারান্দা, একটি ড্রয়িংরুম, বেসিন, রান্নাঘর ও দুটি বাথরুম। ফ্ল্যাটের দুই পাশে ফাঁকা জায়গা। ফ্ল্যাটগুলো টাইলস করা।

প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী আধুনিক এসব ফ্ল্যাটের ভাড়া সাড়ে ৭ হাজার টাকা রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে, এ ভাড়া আরও কমতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

একই অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ঢাকায় নির্মিত ২৪৭৪টি ফ্ল্যাট সংবলিত ৫টি আবাসন প্রকল্প এবং মাদারীপুরে নির্মিত সমন্বিত অফিস ভবন উদ্বোধন করেন।

ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ; মুজিব বর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *