করোনা দীর্ঘমেয়াদী আর মারাত্মক হুমকি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

এনএনবি বাংলা.কম

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মানবজাতির জন্য দীর্ঘমেয়াদী মারাত্মক এক হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন ডব্লিওএইচও নিযুক্ত মার্কিন প্রতিনিধি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. ডেভিড নাবাররো।

তিনি বলেন- যতদিন ভাইরাসটির কার্যকর ভ্যাকসিন (টিকা) আবিষ্কার না হবে, ততদিন কেউই আসলে এর থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারবেন না। আর ততদিনই এটা মানবজাতির ঘাড়ে বসে থাকবে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ ছোট-খাটো আরও অনেক প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে। যা স্বাস্থ্যখাতের প্রতিরক্ষা ব্যূহ ভেদ করে জনজীবনে ডেকে আনবে চরম দুর্ভোগ।

যদিও ভাইরাসটি চীন থেকে ছড়িয়েছে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এর ছোবলে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় আছে এখন। যুক্তরাষ্ট্রেই রয়েছে করোনায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৬০ হাজার ৪৩৩ জন মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত। ২২ হাজার ১১৫ জন মানুষ হারিয়েছেন তাদের প্রাণ।

ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপসর্গ হলো- জ্বর, তীব্র গলা ব্যথা। একই সাথে শুকনো কাশি আর শ্বাসকষ্ট। আক্রান্ত হলে স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতিও লোপ পেতে পারে। একেবারে নাও হতে পারে স্বাদ গন্ধের এই অনুভূতি। সেক্ষেত্রে অবহেলা না করে দ্রুত নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ।চলাফেরায় জনবহুল স্থানে মুখে ব্যবহার করতে হবে মাস্ক, হাতে গ্লাভস আর চোখে গ্লাস। নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি পরিষ্কার রাখতে হবে বাড়িঘর ও নিজের আঙিনা। ঘরে ফেরার পর পরিধেয় কাপড়চোপড় দ্রুত পরিবর্তন করে হাতমুখ সাবান বা জীবাণুনাশক দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

লক্ষনীয় ভাইরাসটি চীনের উহান থেকে ছড়ানোর তিন মাস পার হয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণের লক্ষণ এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান নয়। এরইমধ্যে সারাবিশ্ব আজ বিপর্যস্ত! করোনায় বিশ্বে মোট মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ২৭০ জন। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৪১৫ জনের মৃত্যু হয়। গোটা বিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ৬১০ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৭২ হাজার ৬১৬ জন। এ পর্যন্ত ৪ লাখ ২৭ হাজার ৮০৬ জন মানুষ সুস্থ হয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত রয়েছে ১৩ লাখ ১১ হাজার ৫৩৩ জন এবং তাদের মধ্যে ১২ লাখ ৬০ হাজার ৬৭৫ জন চিকিৎসাধীন। ৫০ হাজার ৮৫৮ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিউতে। তবে বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল। যুক্তরাষ্ট্রের এনবিসি নিউজ নেটওয়ার্কের মিট দ্য প্রেসে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. ডেভিড নাবাররো এসব তথ্য তোলে ধরেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *