ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
এনএনবি বাংলা.কম
নেত্রকোনা : ইচ্ছে ছিলো নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের আপামর মানুষের প্রতিনিধি হয়ে সংসদে যাওয়ার। এলাকার সমস্যা ও মানুষের ভাগ্যন্নয়নে কথা বলার। লক্ষ্য পূরণে নিজ এলাকাতে এসে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জনসংযোগ আর রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সাথে কাজ করতেন তিনি।
তবে সেই আশা আর পূরণ হলো না। সবকিছু উপেক্ষা করে মৃত্যু তার দিকে বাড়িয়ে দিলো হাত! অপূর্ণ আশা নিয়েই না ফেরার দেশে চলে গেলেন আ’লীগ নেতা নেত্রকোনার সন্তান নায়ক চিত্রনির্মাতা প্রযোজক রানা হামিদ। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি) পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে এবং চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই শুরু করে একসময় তিনি ছিলেন আ’লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক।
শনিবার (০৯ মে) দিনগত রাতে সাড়ে ১১ টার দিকে শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ক্যান্সার ও কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি দীর্ঘদিন। তার মৃত্যুতে দেশের অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতাকর্মীদের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বিভিন্ন মহল থেকে তার মৃত্যুতে জানানো হয়েছে পৃথক পৃথক শোক।
মৃত্যুর পর মরদেহ নেত্রকোনা সদরের কাইলাটি ইউনিয়নের সাতবড়ি কান্দা গ্রামের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। রোববার (১০ মে) বেলা ১১ টার দিকে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে করা হয় দাফন। এনএনবি বাংলাকে জানিয়েছেন নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল আওয়াল শাওন।
তিনি জানান- মৃত্যুকালে স্ত্রী আর এক মেয়েসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন রানা হামিদ। ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক জীবনেও অসাধারণ মানুষ ছিলেন চিত্রনায়ক রানা হামিদ। তার মৃত্যুতে সমাজ দেশ একজন ভালো মানুষ হারিয়েছে যা অপূরণীয় ক্ষতি। সবশেষে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন ছাত্রলীগ নেতা শাওন।
রানা হামিদের মৃত্যুতে এনএনবি বাংলা পরিবারের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেন এডিটর ইন-চিফ এড. নূরে এলাহি খান।