সেদিন আনন্দে মেতেছিলাম

ভোরের আলো আর আমাদের জীবনের কর্মব্যবস্থতা যেন একই সূত্রে গাঁথা। তবে সূর্যের আলো উঠতে একটু দেরি করলেও কর্মব্যস্ত মানুষের সেই সুযোগ নেই। ঘড়ির কাঁটা সঙ্গে চলে কর্মজীবিদের জীবন-সংসার। কিন্তু ধরা-বাঁধার এই ব্যস্ত জীবনে একদিনের জন্য হলেও বিনোদনের প্রয়োজন।

আর তাই তো ব্যস্ত জীবনকে একটু আনন্দ দিতে নিত্যদিনের নিয়মের দেয়াল ভেঙ্গে গত রবিবার বনভোজন ও আনন্দভ্রমণে মেতে উঠেছিল বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) শেরপুরের ৪র্থ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

জেলা শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অনন্য প্রাকৃতিক পরিবেশে পাহাড় ‘পানিহাতা’ ও দেশের অন্যতম স্থলবন্দর ‘নাকুগাঁও’ তে গিয়ে আনন্দে মেতেছিল সবাই । সেখানে গিয়ে একেকজন একেক ভঙ্গিমায় ছবি তুলছিল। সকাল সকাল আনন্দভ্রমণের উদ্দেশ্যে গাড়ির চাকা যখন ঘুরা শুরু করল। তখন গাড়ির ভেতর শুরু হয়ে গেল আনন্দ-উচ্ছ্বাসের বন্যা। কেউ গান করছে,কেউ গানের তালে তালে নাচানাচিও করছে। পুরো বাস হৈ-হুল্লোড়ে মেতে উঠল যেন। শুরুতে সামিউল, আজমিন, সাদিকুন নাহার গান  করলে  বসে থাকতে পারেনি ইফতেখার পাপ্পু, দেলোয়ার’রা। একে একে ওদের যোগ দেয় মিথুন সাহা, সনৎদেব, জিন্নাহ বাবুল, শরিফ।

আনন্দের এই মুহূর্তগুলো স্মৃতির পাতায় ধরে রাখতে কেউ কেউ ছবি তোলে, ভিডিও করছিল। বাস চলতে চলতে একসময় মনে হলো সবুজের গুহায় ঢুকছে। রাস্তার দুই ধারে ঘন সারিবদ্ধ পাহাড়ি গাছ। জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছিল দূরের কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়। এভাবেই দুপুরে আমরা পৌঁছে যাই পানিহাতা পিকনিক স্পটে। তারপর খাওয়া-দাওয়া আর খাওয়ার পর পরই শুরু হলো আমাদের সাংস্কৃতিক পর্ব আর লটারি। এভাবে কখন যে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো বুঝতেই পারলাম না। ড্রাইভার মামা বললেন এবার গাড়ীতে উঠতে হবে, মানে ফিরতে হবে নীড়ে। কিন্তু ফিরে আসতে কারও ইচ্ছে না করলেও বাসে উঠতে হলো।

এভাবে বিদায় জানাতে হলো দেশের অন্যতম স্থলবন্দর আর সবুজে ঘেরা গারো পাহাড়কে। সবাই ফিরে এলাম সেই কর্ম ব্যস্ত জীবনে।      #পাপ্পু

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *